টিভি নিউজ টেন ওয়েবডেস্ক : একাধারে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার গ্রাফ। তার উপর বাড়ছে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা। এবার টমেটো ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মুখ, হাত, গোড়ালি, হাঁটুতে দেখা দিচ্ছে ফোসকা। দেখে চিকেন পক্স মনে হলেও এটাই কিন্তু হ্যান্ড-ফুট-মাউথ ডিজিজের উপসর্গ। এই রোগের শিকার হয় মূলত ছোটরাই। উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
চিকৎসকেরা বলছেন, এটি একটি ভাইরাল রোগ। হাতের তালু ও পায়ের পাতায় ফোসকা দেখা যায়। লাল রঙের ফোসকা গুলি দেখতে টম্যাটোর মতো, তাই নাম টম্যাটো ফ্লু। এই রোগের উপসর্গ হল – জ্বর, সর্দি-কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া, বমিভাব, পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া। এছাড়াও, গলা, মুখ ও জিভে ঘা হয়, জ্বালাভাব থাকে। খেতে সমস্যা হয়। উপসর্গ থাকে ৩ থেকে ৫ দিন। রোগটি খুবই ছোঁয়াচে।
এখনও পর্যন্ত ভারতে এই ভাইরাল সংক্রমণের ৮২টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে, ‘দ্য ল্যান্সেট রেসপিরেটরি জার্নালে’র একটি প্রতিবেদন। টমেটো ফ্লু বা টমেটো জ্বরের কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। এই রোগে আক্রান্তদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা উচিত। কারণ, এটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ। একজনের থেকে অন্য জনের দেহে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
সংক্রামিতদের পাঁচ থেকে সাত দিন নিভৃতবাসে রাখতে বলেছেন চিকিত্সকেরা। ফুসকুড়ি থেকে মুক্তি পেতে রোগীদের প্রচুর পরিমাণে তরল পান করতে হবে এবং গরম জলে শরীর স্পঞ্জ করা উচিত। এই টমেটো ফ্লুতে আক্রান্ত হলে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুনঃ আদালতে হাজিরা দিতে এসে বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়