উত্তর দিনাজপুর: এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় উওর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থানার সাহেবঘাটা গ্রামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী বেশ বেগ পেতে হয়।
সূত্রের খবর, মিতা কিশোরীর নাম ডলি বর্মন, ১৮ বছর বয়স, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। জানা যায়, ওই কিশোরীর সাথে এক যুবকের প্রণয়ের সম্পর্কে ছিল এবং গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। কিশোরীর বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করার পর গ্রামের প্রধানের কাছে থেকে জানতে পারে যে কিশোরী একটি ছেলের সাথে আছে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার সকালে ওই কিশোরীকে একটি পুকুর পাড়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং এই অবস্থায় কিশোরীর দেহ দেখে উতপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় পুলিশ বাহিনী এবং তারা ,দেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানোর জন্য চেষ্টা শুরু করতেই, পুলিশের সাথে বাদানুবাদ থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়।
যদিও বা উত্তেজিত জনতার দাবী অভিযুক্ত যুবককে আটক করে চরম শাস্তি দিতে হবে, না হলে তারা কিশোরীর দেহ দেবেন না। এই অবস্থায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা, টায়ার জ্বালিয়ে সাহেবঘটা রোড় অবরোধ করে এলাকার মানুষ।
পুলিশের দিকে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশকে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জ এবং টিয়ারগ্যাস (Tear gas) ব্যবহার করতে হয়। এলাকা থমথমে এবং পুলিশের টহলদারী রয়েছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার সাহেবঘাটা গ্রামে।
আরও পড়ুনঃ ধসের আতঙ্ক , ঘর ছাড়লেন পরাশকোলের মানুষ