পূর্ব মেদিনীপুর: ছেলের জন্য সর্বস্ব পণ করেছিলেন বাবা মা। সাফল্যও পেয়েছেন তারা। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিকের (Higher Secondary) ফলাফলে তৃতীয় স্থান লাভ করেছেন চন্দ্রবিন্দু মাইতি। ছেলের অভাবনীয় সাফল্যে কার্যত আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছেন বাড়ির লোকজনেরা। তমলুক থানার শঙ্কর আড়া গ্রামের মাইতি পরিবারের আয়ের উৎস একটি ছোট চা পান বিড়ির দোকান। দোকান থেকে উপার্জিত অর্থে কোনরকম পরিবারের চার সদস্যের পেটের জোগাড় হয়।
তবুও ঘরের গয়নাগাটি বিক্রি সহ আত্মীয়পরিজনের আর্থিক অনুদানে দুই ছেলের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যান মাইতি পরিবার। দুই ছেলে তমলুকের হ্যামিলটন হাইস্কুলের ছাত্র। হাজারো প্রতিকূলতা সত্ত্বে উচ্চমাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান লাভ করেছেন শংকরআড়া গ্রামের পরিবারের বড় ছেলে চন্দ্রবিন্দু মাইতি। এ খবর পাওয়ার পরে খুশিতে ভাসেন মাইতি পরিবারের সদস্য সহ পাড়া-প্রতিবেশীরা।
চন্দ্রবিন্দুর মায়ের বক্তব্য, চরম আর্থিক সংকট সত্ত্বেও দুই ছেলের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছেন তারা। সারাদিনে অনেকটা সময় পড়াশোনায় কাটায় চন্দ্রবিন্দু। ইচ্ছে থাকলেও দোকানে সময় দেওয়ায় ছোট ছেলে সেভাবে পড়াশোনা করতে পারে না। তবে বড় ছেলের সাফল্যে খুশি চেপে রাখতে পারেননি মাইতি পরিবারের সদস্যরা। আগামী দিনে ছেলের শিক্ষা সম্পূর্ন করতে সম্পত্তি বাড়ি জমি বিক্রি করতেও দ্বিধা করবেন না বলে জানান চন্দ্রবিন্দুর মা।
আরও পড়ুনঃ বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা প্রবল, অনুব্রত প্রসঙ্গে অধীর